মৌলভীবাজার পাসপোর্ট কর্মচারীদের মোবাইলেও ঘুষ লেনদেনের প্রমাণ

ভোক্তাকন্ঠ ডেস্ক:
রাজধানীর আগাঁরগাওয়ের পাসপোর্ট অফিসে মোবাইল ফোনে অবৈধ লেনদেনের তথ্য মিলেছে মৌলভীবাজার আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসেও। সেখানেও  প্রমাণ পেয়েছে দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিট। ওই পাসপোর্ট অফিসের কর্মচারী ও আনসার সদস্যদের সঙ্গে বহিরাগতদের যোগাযোগ ও টাকা লেনদেনের প্রমাণ মিলেছে।

মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) দুদকের হবিগঞ্জ সমন্বিত সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ শোয়ায়েব হোসেনের নেতৃত্বে পরিচালিত এক অভিযানে এমন প্রমাণ পাওয়া যায়।

সংস্থাটির সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) মোহাম্মদ শফিউল্লাহ আদনান অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

দুদক জানায়, মৌলভীবাজার আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে পাসপোর্ট অফিসে আসা সেবাপ্রার্থীদের সেবা প্রদানে হয়রানি ও অবৈধ অর্থ লেনদেনের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অভিযান চালানো হয়েছে। অভিযানকালে অফিসের বিভিন্ন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মোবাইল ফোনের কল লিস্ট, হোয়াটসঅ্যাপের কল লিস্ট, মেসেজ ও ভয়েস মেসেজের অডিও রেকর্ড পর্যালোচনা করা হয়।

সূত্র আরও জানায়, মেসেজ ও রেকর্ড পর্যালোচনা করে একজন একাউন্টেন্ট ও চার আনসার সদস্যের মোবাইলে বহিরাগতদের সঙ্গে যোগাযোগ ও টাকা লেনদেনের মেসেজ এবং কল রেকর্ড পাওয়া যায়। এ সময় পাসপোর্ট অফিসের প্রবেশ মুখের দায়িত্বরত আনসার সদস্য হানিফের কাছ থেকে একজন সেবা গ্রহীতার রেকর্ডপত্র পাওয়া যায়।

তাৎক্ষণিক অভিযানে পাসপোর্ট অফিসের কর্মচারী ও আনসার সদস্যদের সঙ্গে বহিরাগতদের যোগাযোগ ও টাকা লেনদেন সংক্রান্ত বিভিন্ন অনিয়ম রয়েছে বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। দায়ীদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট ব্যবস্থা নিতে সুপারিশসহ অনুসন্ধান প্রতিবেদন কমিশনে দাখিল করা হবে বলে এনফোর্সমেন্ট ইউনিট থেকে জানানো হয়েছে।

এর আগে গতকাল ঢাকার আগাঁরগাওয়ের পাসপোর্ট অফিসে অভিযান চালিয়ে পাসপোর্টের বেসিক সেন্ট্রাল ক্লিয়ারেন্স বিভাগের কর্মরত কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারীর সঙ্গে দালাল বা দুর্নীতিবাজ সিন্ডিকেটের নিয়মিত যোগাযোগ ও আর্থিক লেনদেনের যোগসূত্র পাওয়া যায়। বিকাশ, নগদ ও ব্যাংকের বিশেষ একাউন্টের মাধ্যমে ওইসব অবৈধ লেনদেনে চলে। অভিযানকালে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের মোবাইল ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য জব্দ করে টিম।